মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৭ অপরাহ্ন
দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় আওয়ামীলীগ সরকারের আস্হাভাজন এবং স্হানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা ছিলো সোলাইমান পরিবারের। তার পরিবারের লোকজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ ছিলো বলে জানা যায় ।
দলীয় ক্ষমতা এবং চেয়ারম্যানের প্রভাব খাটিয়ে সোলাইমান পরিবারের লোকজন অনেক মানুষের নগদ অর্থ আত্নসাত, জোরপূর্বক জমি দখল সহ আরো অনেক অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিপাকে পড়েন সোলাইমান ও তার পরিবারের লোকজন। বিপক্ষ দলের আবু সালেহের রোশানলে পরেন সোলাইমানের পরিবার। এমনকি সোলাইমান মিয়াকে বাজারে জনস্মুক্ষে লাঞ্চিত করেছে বলে জানায় পরিবারের লোকজন। সেই সাথে তাদের পারিবারিক খাস জমি দখল ও মাছের হেচারির মাছ জোর করে ধরে নিয়ে যায় বলেও জানান তারা। ভিন্ন রাজনৈতিক দলের রোষানলে পড়ে সোলাইমান মিয়া ও তার ছেলেরা সহ এমনকি তার ভাতিজা তরিকুল ইসলাম বাড়ি ছেড়ে পলাতক অবস্থায় জীবন জাপন করছেন বলে জানা যায় ।
তন্মধ্যে ভাতিজা তরিকুল দেশত্যাগ করেছে বলে জানা এলাকাবাসী। বিষয়টি নিশ্চিত করে তরিকুলের মা খাইরুন নেছা বলেন, তরিকুলের দেশত্যাগের খবর জানাজানি হওয়ার পরে বিপক্ষ দলের নেতা আবু সালেহ লোকজন নিয়ে বাসায় এসে ভাংচুর করে।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ তরিকুলের বাবা গত ২৬ ফেব্রুয়ারী হার্ট এটাকে মারা যান।
এলাকাবাসী আরো জানান, আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে সোলাইমান ও তার পরিবারের লোকজন দলীয় ক্ষমতার প্রভাবে অনেক মানুষের ক্ষতি করেছে। তাই সোলাইমান ও তার পরিবার কে এলাকার লোকজন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।